ব্লু কাট লেন্স কী?
ব্লু কাট লেন্স এমন একধরনের চশমার লেন্স যা ডিজিটাল স্ক্রিন (মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব, টিভি) থেকে নির্গত নীল আলো (blue light) প্রতিরোধ করে। এই নীল আলো দীর্ঘ সময় চোখে প্রবেশ করলে চোখে চাপ, শুষ্কতা, ঝাপসা দেখা এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
কেন ব্লু কাট লেন্স দরকার?
আজকাল অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৬-৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে কাটায়। এতে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ব্লু কাট লেন্স এই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কমাতে সহায়ক।
চোখের আরাম বজায় রাখে
ব্লু কাট লেন্স চোখে শুষ্কতা, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া কমায়। যারা নিয়মিত অফিসে বা বাড়িতে ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে কাজ করেন, তারা চোখে এক ধরনের ক্লান্তি অনুভব করেন। এই ক্লান্তি রোধে ব্লু কাট লেন্স কার্যকর।
ঘুমের মান উন্নত করে
রাতের বেলা মোবাইল বা টিভির স্ক্রিন থেকে আসা ব্লু লাইট মস্তিষ্কে ঘুমের সংকেত দেওয়া হরমোন (মেলাটোনিন) কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। ব্লু কাট লেন্স এই আলো কমিয়ে ঘুমের মান ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কোন কারনে না নেওয়া যেতে পারে?
আপনি যদি দিনে ১-২ ঘণ্টার কম স্ক্রিন ব্যবহার করেন এবং চোখে কোনো অস্বস্তি না অনুভব করেন, তবে আপাতত ব্লু কাট লেন্সের দরকার নেই।
সকল লেন্স ব্লু কাট নয়
সাধারণ পাওয়ার লেন্স বা ফ্যাশন লেন্স সবসময় ব্লু লাইট প্রতিরোধ করে না। আলাদাভাবে ‘ব্লু কাট’ অপশন বেছে নিতে হয়।
মূল্য ও প্রাপ্যতা
ব্লু কাট লেন্স বর্তমানে অনেক ব্র্যান্ডে এবং দামের মধ্যেই পাওয়া যায়। চশমার ফ্রেমসহ একজোড়া লেন্সের দাম শুরু হয় প্রায় ১২০০-২০০০ টাকার মধ্যে।
চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি
আপনার চোখের অবস্থা ও স্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস অনুযায়ী একজন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
ছাত্র, চাকরিজীবী, ডিজিটাল পেশাজীবীদের জন্য উপযোগী
যারা দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনে কাজ করেন বা পড়াশোনা করেন, তাদের চোখের সুরক্ষায় ব্লু কাট লেন্স নেওয়া যুক্তিসঙ্গত।